Articles, News

কফি খেলে কি সত্যি ওজন কমে নাকি দেখা দিতে পারে হজমের গোলমাল?

Photo of author

By Rakhi Dey

Updated

JOIN WHATSAPP CHANNEL
Amazon Affiliate Disclaimer! Some links on this page are Amazon affiliate links which means that, as an Amazon Associate, I earn from qualifying purchases. I greatly appreciate your support!

Please Share With Your Friends

দিনের শুরুতে হোক বা কাজের ফাঁকে, এক কাপ কফি ঘুম উড়িয়ে দেয়। কফির সুবাস সমস্ত ক্লান্তি সরিয়ে দেয়। মনে তরতাজা ভাব এনে দেয়। কিন্তু এই পানীয় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা অনেকেরই অজানা। বিশেষত, মেটাবলিজমের উপর কী প্রভাব ফেলে কফি, অনেকেই জানেন না। কাপের পর কাপ কফি খাওয়ার আগে, এটি আপনার ওজন কমায় নাকি হজম স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে দেয়, তা জেনে রাখা দরকার।

ক্যাফেইনে ভরপুর কফি। ক্যাফেইন হল একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক যা বিপাকীয় হার বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করার কাজ করে, যার ফলে দেহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যাড্রেনালিন তৈরি হয়। অ্যাড্রেনালিন, যা এপিনেফ্রিন নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি হরমোন যা শরীরকে পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত করে। যখন দেহে অ্যাড্রেনালিন নিঃসৃত হয়, তখন এটি শরীরে জমে থাকা চর্বিকে ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভেঙে ফেলার জন্য প্ররোচিত করে, যা পরবর্তী সময়ে দেহে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কফি খাওয়ার ফলে দেহে থার্মোজেনেসিস সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পায়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেহে তাপ উৎপন্ন হয়। এই বর্ধিত তাপমাত্রা বিপাকীয় কার্যকলাপের উদ্দীপনার কারণে ঘটে। বিশেষত, ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু (BAT) ও স্কেলেটন মাসলে। BAT হল এক ধরনের চর্বিযুক্ত টিস্যু যা তাপ উৎপাদনের জন্য ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম। কফি খেলে এই প্রক্রিয়াটিই সক্রিয় হয়ে যায় এবং দেহে শক্তি ব্যয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

কফি খেলে ক্যালোরি ঝরানো সহজ হয়ে যায়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন ব্যায়ামের সময় শারীরিক কার্যক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কফি খেলে ইনসুলিন ও লেপটিনের মতো বিপাকীয় হরমোনের ভারসাম্যের উপরও প্রভাব পড়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কফি ইনসুলিন হরমোনের সংবেদশীলতা উন্নত করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, কফি খেলে লেপটিন হরমোনের মাত্রাও পরিবর্তন হয়। এই হরমোন আপনাকে তৃপ্তি বোধ করায়। এতে বিপাকীয় হার বৃদ্ধি পায় এবং সহজেই ওজন কমে।

কফি খেয়ে ওজন কমানো যায়। কিন্তু দিনে ৩-৪ কাপের বেশি কফি খাওয়া চলবে না। পাশাপাশি দুধ-চিনি, ক্রিম ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেতে হবে। অত্যধিক পরিমাণ কফি খেলে ওজন কমার বদলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শারীরিক অস্থিরতা ও অনিদ্রার সমস্যা বাড়ে। এমনকি হজমের গোলমালও দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়।


Please Share With Your Friends

Tags:

You might also like these recipes

মন্তব্য করুন