গাওয়া ঘিয়ে ভাজা পরোটা কার না ভাল লাগে! আবার সুজি, হালুয়া বা বিশেষ তরকারি… যাই-ই হোক ঘি দিলে স্বাদই যেন বদলে যায়। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, যাঁরা ডায়েটে রয়েছেন বা যাঁদের কোলেস্টেরল বেশি, তাঁদের কি ঘি খাওয়া উচিত? কাঁচা ঘি না খেয়ে তরকারি, হালুয়াতে দেওয়া ঘি খেলেও কি ওজন বাড়ে?
ঘি-কে বলা হয় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা সাধারণত খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগ ঠেকাতে সাধারণত ঘি না খাওয়া উচিত বলেই অনেকে মনে করেন। কিন্তু ঘি-তে লিপোলিটিক রয়েছে, যা রক্তে লিপিড বাড়াতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
ঘিয়ে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (ভাল ফ্যাট), সিএলএ এবং চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন এ, ই ও ডি রয়েছে। ফলে হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর ঘি। এছাড়া ক্যানসার দূরে রাখতে এবং রক্তের নিম্মুখী প্রবাহ অর্থাৎ হার্ট থেকে রক্ত যাতে বাধাহীনভাবে শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে, তাতেও সাহায্য করে ঘি
ঘিয়ে থাকা সিএলএ ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। এছাড়া ঘিয়ে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী। ফলে পরিপাক ক্রিয়ায় বিশেষ সাহায্য করে ঘি। কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রতিরোধ করে। ওজন কমতেও সাহায্য করে ঘি
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে ঘিয়ে। ফলে অসুস্থতা কাটাতে ঘি খুবই উপকারী। এছাড়া তেলের মতো ঘি ক্ষতিকারক ফ্রি ব়্যাডিকল (এক ধরনের অস্থির অণু যা ডিএনএ, লিপিড এবং প্রোটিনের ক্ষতি করতে পারে এবং ক্যানসার-সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়) উৎপন্ন করে না। তাই রোগীদের জন্য ঘি দিয়ে ভাজা রুটি বা ঘি দিয়ে রান্না করা যে কোনও খাবার খুব কার্যকরী। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের বা ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন
ঘি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বকের রুক্ষতা ও অকাল বার্ধক্য কাটাতে খুবই কার্যকরী। তাই ত্বককে বলিরেখা-মুক্ত ও টানটান রাখকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ডায়েটে ঘি রাখুন। গরম ভাত দিয়ে বা ঘি দিয়ে রান্না করা খাবার হোক, দু’টোই কাজ দেয়
হাড়ে, জয়েন্টে ব্যথায় উপকারী ঘি। বলা যায়, হাড়ের জয়েন্টের লুব্রিক্য়ান্ট হিসাবে কাজ করে ঘি। এমনকি মেরুদণ্ড সোজা রাখতে ওষুধের মতো কাজ করে ঘি। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য ঘি খাওয়া উপকারী
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া রাতে ভাল ঘুমের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা নেয় ঘি। আবার ঘিয়ের সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
বলিউড সুপারস্টার অক্ষয়কুমার ২০২৩ সালের শেষ ‘মন কি বাত’ শোয়ে স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। শো-এ অক্ষয় বলেছেন, বিশুদ্ধ ঘি খাওয়া ভীষণভাবে জরুরি। ঘি খেলে শক্তি বাড়ে। ঘি খেলেই ওজন বাড়বে বা শরীরে ফ্যাট বেড়ে যাবে, এই ধারণা একেবারেই ভুল। সুস্থ থাকতে ঘি খান, এতে মোটা হয়ে যাবেন না—বলেছেন অক্ষয়।
- Uric Acid: আপেল থেকে খেজুর—এই ৫ স্বাস্থ্যকর ফল খেলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড - বৃহস্পতিবার, মার্চ 21, 2024, 5:48 পূর্বাহ্ন IST
- এই গাছের সুস্বাদু ফল তো খান, পাতা কি খেয়েছেন? বিনাশ করে মারণ রোগ - বৃহস্পতিবার, মার্চ 21, 2024, 5:47 পূর্বাহ্ন IST
- Colorectal cancer: প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে সাদা পাউরুটি খান? অজান্তেই মারণরোগ ডেকে আনছেন না তো! - রবিবার, ফেব্রুয়ারি 25, 2024, 8:46 অপরাহ্ন IST