Articles, News

বিরিয়ানি চিবিয়েই ঢকঢক করে গিলে ফেলেন কোল্ড ড্রিঙ্কস? পুষ্টিবিদের পরামর্শ শুনুন

Photo of author

By Rakhi Dey

Updated

JOIN WHATSAPP CHANNEL
Amazon Affiliate Disclaimer! Some links on this page are Amazon affiliate links which means that, as an Amazon Associate, I earn from qualifying purchases. I greatly appreciate your support!

Please Share With Your Friends

বিরিয়ানির সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক্স চাই-ই চাই। কোনও কারণ ছাড়াই ঠান্ডা পানীয় খেয়ে ফেলেন। ছোট হোক বা বড়, সোডাযুক্ত পানীয় সকলেই পছন্দ। মোগলাই হোক বা চাইনিজ—মুখরোচক খাবারের সঙ্গে কোল্ড ড্রিংক্স থাকা চাই। তার উপর গরম বাড়ছে। একটু হাঁসফাঁস অবস্থা হলেই ফ্রিজ খুলে কিংবা দোকান থেকে খেয়ে ফেলবেন কোল্ড ড্রিংক্স। শুধু কি কোল্ড ড্রিংক্স? ফ্রুট জ্য়ুস হিসেবেও ঢকঢক করে ব্রেকফাস্টে যে পানীয় গলাদ্ধকরণ করছেন, তাতেও রয়েছে আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার (Artificial Sweetener)। কিন্তু এই ধরনের পানীয় ঘন ঘন খাওয়ার ফলে আপনার ও আপনার বাচ্চার শরীরের উপর কী প্রভাব পড়ে, তা জানেন কি? এরই উত্তর খুঁজতে TV9 বাংলা ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-এর সঙ্গে।

আজকাল কম বয়সে বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে। এর অন্য়তম কারণ হিসেবে অবশ্যই অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়াকে দায়ী করছেন চিকিৎসক তথা নিউট্রিশানিস্টরা। এর মধ্যে অন্যতম হল কোল্ড ড্রিংক্স। অরিজিৎ বলেন, “সোডাযুক্ত পানীয় ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই ধরনের পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। চিনি শরীরকে ভারী করে দেয়। এখান থেকেই বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি।” অতিরিক্ত চিনি আর বিভিন্ন ধরনের প্রিজারভেটিভ দিয়ে তৈরি হয় পানীয়গুলো। ক্যালোরির পরিমাণও বেশি থাকে। অরিজিতের কথায়, “দিনের পর দিন কোল্ড ড্রিংক্স খেতে থাকলে ওজন বাড়তে বাধ্য।”

এখানেই সীমাবদ্ধ নয় কোল্ড ড্রিংক্সের ক্ষতিকারক দিকগুলো। পুষ্টিবিদ আরও বলেন, “এই ধরনের পানীয়গুলো হজমজনিত সমস্যাও ডেকে আনে। এমনকি রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়া এবং ওবেসিটিতে আক্রান্ত হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় বাড়িয়ে তোলে এই ধরনের পানীয়গুলো।”

অরিজিৎ বলেন, “কোল্ড ড্রিংক্স দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অর্থাৎ, ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি অত্যধিক পরিমাণে ঠান্ডা পানীয় খেলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। আর এই ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।” এই ধরনের পানীয়গুলো বাচ্চাদের ইমিউনিটির ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। অরিজিতের কথায়, “এই ধরনের পানীয়গুলো খেলে বাচ্চারা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ে, রুগ্ন হয়ে যায়। তাছাড়া ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও রয়েছে।”

সোডা ও মিষ্টি স্বাদের পানীয়ই কি একমাত্র ক্ষতিকারক? নাকি যেসব ফলের রস প্যাকেটে ভরে বিক্রি হয়, সেগুলোও সমান ক্ষতিকর? এই প্রসঙ্গে অরিজিৎ বলেন, “স্বাস্থ্যকর ভেবে অনেকেই বোতলবন্দি বা প্যাকেজড ফলের রস কিনে খান। কিন্তু এগুলোও কোল্ড ড্রিংক্সের মতো সমান ক্ষতিকারক। প্যাকেটজাত ফলের ফলের রসেও অত্যধিক পরিমাণে চিনি এবং বেশ কিছু প্রিজারভেটিভস মেশানো থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে দীর্ঘস্থায়ী অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।”


Please Share With Your Friends

Tags:

You might also like these recipes

মন্তব্য করুন